আর একদিন পর এশিয়া কাপ খেলতে আরব আমিরাত রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। তার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ক্রিকেটাররা। যেখানে এক দলে রয়েছে এশিয়া কাপের দলের সদস্যরা আর অন্য দলে রয়েছে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। যেহেতু নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ তাই ব্যাটে-বলে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে সবাইকে। যেখানে দুবার করে ব্যাট করেছেন সাকিব, এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন এবং শেখ মেহেদী। দুইবার ব্যাট করে সাকিব করেছেন ১৭ এবং ৩৬। শেখ মেহেদী ০ এবং ৩১। তবে লাল দল এবং সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে খেলা এই ম্যাচে রান পাননি মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক বিজয় এবং আফিফ হোসেন। এনামুল প্রথমে ৪ এবং দ্বিতীয়বার করেছেন ১৯ রান। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১২ রান। আফিফ হোসেন করেন ৮ এবং ১। তবে তাসকিন, নাসুমরা বল হাতে প্রস্তুতিটা ভালই সেরেছেন। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রান করে লাল দল। ম্যাচ আবহের জন্য সবুজ দলকে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৪৮ রানের। ওই লক্ষ্য ৪ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় সবুজ দল।
প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেও লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন সাকিব। তিনটি ছক্কা মারেন সাকিব। তবে উদ্বোধনী পজিশনের দুজনের একজন বিজয় ব্যর্থ দুবার নেমেও। লাল দলের ওপেনার প্রথমবার ৪ রানে আউট হন তাসকিনের বলে। দ্বিতীয় সুযোগে ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। বিজয় ব্যর্থ হলেও লোয়ার অর্ডারে রান পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৭ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। লাল দলের হয়ে মেহেদী ৬ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সবুজ দলের হয়ে ১৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন । এর বাইরে মুশফিকুর রহিম ১৭ বলে ২২ রান করেন ১টি করে চার ও ছক্কায়। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য রানের দেখা পাননি। ৯ বলে করেন ১২ রান। সবুজ দলের মিরাজের ব্যাট থেকে ২১ বলে আসে ২৯ রান। রান পাননি সবুজ দলের অধিনায়ক আফিফ। ৮ রানে প্রথমবার ফিরেন সাজঘরে। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান করে আউট হন তিনি। ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করে সাইফ উদ্দিন। বোলিংয়ে সবুজ দলের তাসকিন ৪২ রানে দুইটি ও নাসুম ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। লাল দলের হয়ে সাকিব ২৯ রানে ২টি এবং হাসান মুরাদ ১০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।