বৈরী আবহাওয়ায় পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের ‘ডজনখানেক ট্রলার ডুবে গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েক ডজন’, যেসব ট্রলারে প্রায় পাঁচশত জেলে রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। জেলেদের মধ্যে অনেকে ফিরে আসলেও বেশির ভাগেরই খবর পাওয়া যাচ্ছে না। খবর বিডিনিউজের।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, মোট ১১টি ট্রলার ডুবে গেছে। কিছু ট্রলার ফিরে এসেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২৭টি। এসব ট্রলারে চার শতাধিক জেলে ছিলেন। তবে কিছু জেলে ফিরে আসতে পেরেছেন। সঠিক সংখ্যা জানি না। নিখোঁজদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, কোথায় তারা আছে, কোনো হদিস মিলছে না। গতকাল শনিবার বিকালের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, শিববড়িয়া নদীর দুই পাড়ে আলীপুর-মহিপুর দুই মৎস্যবন্দরে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে আসা হাজারো স্বজজের আহাজারি চলছে। এখানে এক হৃদয় বিদারক
দৃশ্য। তাদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ঝড় উঠলে বন্দরে ফেরার চেষ্টা করেন জেলেরা। পথে ডুবে যাওয়া এবং নিখোঁজ ট্রলারের জেলেদের মধ্যে ভারতের রায়দিঘিতে ১১ জন আর সুন্দরবনে ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. সেলিম মণ্ডল জানিয়েছেন। তিনি ‘আটটি ট্রলার ডুবে যাওয়া’ এবং ‘অন্তত সাতটি ট্রলার’ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার খবর পেয়েছেন বলে জানান।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো আব্দুল বারী বলেন, জেলার পাঁচটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এসব ট্রলারে ৭৫ থেকে ৮০ জন জেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা। পিরোজপুর মৎস্য ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি কমল দাস বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে তিন দিন ধরে পিরোজপুরের আটটি ট্রলার প্রথমে নিখোঁজ হয়। তার মধ্যে তিনটির সঙ্গে শনিবার বিকেলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। এখনও সদর উপজেলার একটি আর ইন্দুরকানী উপজেলার চারটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। পাঁচ ট্রলারে ৭৫ থেকে ৮০ জন জেলে রয়েছেন।
কোস্টগার্ডের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন মাধ্যেমে জেলেদের খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানিয়েছেন। তিনি নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগোযোগ করছেন বলেও জানান।