আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা ২০২৫ সালে যাত্রা

| রবিবার , ২১ আগস্ট, ২০২২ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার দাবি, বছর তিনেকের মধ্যে চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন মহাকাশচারীরা। তারা চাঁদের কোথায় ল্যান্ডিং অঞ্চল গড়বে আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে নাসা। সূত্রের খবর, ওই দিনই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সেই সম্ভাব্য অঞ্চল সম্পর্কে আলোকপাত করবে তারা।
‘আর্টেমিস-৩’ নামের এক মিশনের অংশ হিসাবে এ কাজ শুরু করেছে নাসা। ২০২৫ সালে মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোর বন্দোবস্ত করবে তারা। বস্তুত, ‘আর্টেমিস-৩’ মিশনটি সফল হলে ১৯৭২ সালে ‘অ্যাপোলো-১৭’ মিশনের পর এই প্রথম চাঁদে পা রাখবেন নাসার মহাকাশচারীরা। মহাকাশের আরও গভীরে গিয়ে মহাকাশচারীদের দিয়ে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যেই ‘আর্টেমিস-১’ নামে একটি মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। ওই মিশনে গিয়ে চাঁদে ফেরার পরিকল্পনাও রয়েছে নাসার। নাসা জানিয়েছে, ‘আর্টেমিস-১’ নামের ওই মিশনে রয়েছে ওরিয়ন মহাকাশযান, মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য এসএলএস রকেট এবং ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের গ্রাউন্ড সিস্টেম। এই মিশনের আওতায় একাধিক মিশন রয়েছে। এর প্রথমটিতে অবশ্য কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই যাত্রা শুরু করবে মহাকাশযান। ২৯ অগস্ট কেনেডি স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চ প্যাড ৩৯বি’ থেকে ওই মনুষ্যহীন মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে তা মহাশূন্যে যাত্রা করবে। প্রথম মিশনের সময়সীমা ৪২ দিন ৩ ঘণ্টা এবং ২০ মিনিটের। লক্ষ্য- চাঁদের চারপাশের বিপরীতমুখী কক্ষপথ। চাঁদে এবং তার বাইরেও অনুসন্ধানের চেষ্টা করবে ওই যানটি। গোটা মিশনে মহাকাশযানটি অন্তত ২০ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে।
মহাকাশ গবেষণাকারীদের আশা, এই মিশনটি সফল হলে ভবিষ্যতে প্রথম বার কোনও মহিলা বা অশ্বেতাঙ্গ মহাকাশচারীকে চাঁদে বা তার কাছাকাছি পাঠানোর পথ সুগম হতে পারে।
‘আর্টেমিস-১’ মিশনের মাধ্যমে চাঁদ ছাড়াও মহাকাশের গভীরে এবং মঙ্গলে টেস্টিং সিস্টেম গড়তে চায় নাসা। এ কাজে আন্তর্জাতিক অংশীদারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পার্টনারশিপ গড়তে চায় তারা। তা বাস্তবায়িত হলে, নাসার জগতে সেটিও প্রথম বার হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিজার্ভে টান, ভুটানে গাড়ি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধজুলাইয়েও চীনের শীর্ষ জ্বালানি তেল সরবরাহকারী রাশিয়া