দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় গতকাল শনিবার বিকাল থেকে ফের মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিয়েছে কক্সবাজারের ট্রলারগুলো। তবে গতকাল প্রথম দিনে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ ট্রলার সাগরে রওনা দিলেও বাকি ট্রলারগুলো আজ রোববার রওনা দেবে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি।
এদিকে শুক্রবার শহরের নাজিরারটেকের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলে আবু তৈয়বের লাশ গতকাল উদ্ধার হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়। নিহত তৈয়ব শহরের জেলগেট এলাকার বাসিন্দা।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আবহাওয়া দপ্তর সতর্কতা সংকেত জারি করলে মাছ না ধরেই ঘাটে ফিরছিল ট্রলারগুলো। আর এই সময়ে তীব্র ঢেউয়ের ধাক্কায় শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নাজিরারটেক উপকূলের কাছে ডুবে যায় খুরুশকুলের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৭ মাঝিমাল্লা সাগরে ঝাঁপ দিলে তাদের মধ্যে ৮ জন সাঁতার কেটে কূলে আসে এবং ৮ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। নিখোঁজ ছিল আবু তৈয়ব।
গতকাল দুপুর থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় বিকাল থেকেই ট্রলারগুলো ফের মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিয়েছে বলে জানান জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, কঙবাজারের বিভিন্ন ঘাট থেকে গতকাল প্রথম দিনে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ ট্রলার সাগরে রওনা দিয়েছে। বাকি ট্রলারগুলো আজ রওনা দেবে। ট্রলার মালিক সমিতির মতে, কঙবাজারে ছোট-বড় প্রায় ৭ হাজার মাছ ধরার ইঞ্জিন নৌকা রয়েছে। এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কঙবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র ২ জন জেলে। ট্রলারগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো গভীর বঙ্গোপসাগরে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরে। ইলিশ জালের বোটগুলো পক্ষকালের রসদ নিয়ে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো মাত্র একদিনের রসদ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। এসব বোট সাগর উপকূলে ছোট প্রজাতির মাছ ধরে, যাকে স্থানীয় ভাষায় পাঁচকাড়া (পাঁচ প্রকারের) মাছ বলা হয়।












