হলুদ পাগলা পিঁপড়ার উপদ্রবে খাবি খাওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের তামিল নাড়ুর সাত গ্রামের শত শত বাসিন্দা। এই পিঁপড়া তাদের গবাদিপশু, ক্ষেতের ফসলের ওপর হামলা করে তাদের জীবন-জীবিকাকে চরম বিপাকে ফেলছে বলেই অভিযোগ তাদের। বিশ্বে যেসব প্রাণীকে ভয়াবহ আক্রমণকারী বিবেচনা করা হয়, এই হলুদ পাগলা পিঁপড়া তার অন্যতম বলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজের।
এ পিঁপড়া কামড়ায় না কিংবা হুলও ফোটায় না, তবে ফরমিক অ্যাসিড ছিটায়, যা প্রাণীদেহে নানান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই হলুদ পাগলা পিঁপড়ার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানোপ্লোলেডিস গ্র্যাসিলাইপস, সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলোতে এর দেখা মেলে। তাদের পথ চলা এলোমেলো, সমন্বয়হীন, বাধা পেলে পিঁপড়েরা আরও উন্মত্ত হয়ে ওঠে। এই জাতের পিঁপড়া দ্রুত বংশবিস্তার এবং স্থানীয় অন্যান্য প্রাণীকূলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্ট্রেলিয়ার বিশাল অংশজুড়েও এদের উৎপাতের খবর পাওয়া গেছে। হলুদ পাগলা পিঁপড়ার ওপর গবেষণা করা কীটতত্ত্ববিদ ড. প্রণয় বৈদ্য এই প্রজাতির পিঁপড়াকে অভিহিত করেছেন সুবিধাবাদী প্রজাতি হিসেবে। তাদের কোনো পছন্দের খাবার নেই। তারা যে কোনো কিছু এবং সবকিছু খেতে পারে, বলেছেন তিনি।
এই পিঁপড়া এমনকী অন্য প্রজাতির পিঁপড়া, মৌমাছি এবং ভিমরুলকেও শিকার করতে পারে। এদের উৎপাতে দিশেহারা তামিল নাড়ুর গ্রামগুলো দিনদিগুল জেলার কারনাথামালাই জঙ্গলের আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত।
এসব গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজ ও গবাদিপশু লালনপালনের ওপর নির্ভরশীল। যখনই আমরা জঙ্গলের কাছে যাই, এই পিঁপড়াগুলো আমাদের গায়ে উঠে যায় এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। আমরা এমনকী খাবার পানিও নিয়ে যেতে পারি না, দেখা যায় সেই পানিতেও ঝাঁকে ঝাঁকে ওই পিঁপড়া।











