চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাহেদুল হক ও ইসহাক আহমেদ নামের দুই আইনজীবীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে মারধরের শিকার সাংবাদিক আল-আমিন সিকদার কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করেন। তিনি যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম অফিসের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত আছেন। হামলার শিকার আরেক সাংবাদিক হলেন আনিসুজ্জামান লিমন। তিনিও একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, বুধবার বিকেলে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য দুই সাংবাদিক আদালত পাড়ায় যান। আদালত প্রাঙ্গণের সড়কে তখন যানজট থাকায় সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ি হর্ন দেয়। এতে ক্ষিপ্ত
হয়েই দুই আইনজীবীসহ আরও কয়েকজন মিলে তাদের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনকে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির আজাদীকে বলেন, সাংবাদিক আল আমিন একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারটির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। আমার কিছু ফুটেজও দেখেছি। জড়িতদের ইতিমধ্যে শনাক্তও করেছি। গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হব।