বকেয়া কিস্তি পরিশোধে ছাড় এবং পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়ার পরও তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। জুন মাস শেষে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মার্চে যা ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জুন শেষে খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। গত মার্চে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। গত জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। গত মার্চে এর স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৬৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে গত ১৮ জুলাই ঋণ পুনঃতফসিলে ব্যবসায়ীদের বড় ছাড় দিয়ে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোসহ নগদ এককালীন জমা দেওয়ার হার কমিয়ে ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। এর ১৬ দিনের মধ্যে সংশোধনী দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া নতুন সার্কুলারে ঋণ খেলাপিদের আরও ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়িও করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৭ হাজার ৯৩ কোটি টাকা বা ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।
২০২১ সালের জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা এবং হার ছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে স্থিতি ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।