কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনে ‘টর্চার সেলে’ পর্যটককে জিম্মি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
কক্সবাজার অঞ্চলের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. রেজাউল করিম জানান, নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদি হয়ে আজ মঙ্গলবার(৯ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয় যাদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন বলে জানান তিনি।
গতকাল সোমবার ভোরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে দুই পর্যটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
পরে সাইনবোর্ডবিহীন ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের ওই আবাসিক কটেজে তল্লাশি চালিয়ে নির্যাতন ও ‘আপত্তিকর’ কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সংখ্যক উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের লাইট হাউজ এলাকায় দেড়-শতাধিক আবাসিক কটেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি কটেজ রয়েছে সাইনবোর্ডবিহীন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, “সোমবারের অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সেখান থেকে উদ্ধারদের ভাষ্যমতে তিন নারীসহ ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাই এই ১১ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।”
পুলিশ তদন্ত করে মামলার আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান পর্যটন পুলিশের এ কর্মকর্তা।