রাঙ্গুনিয়ায় এক বান্ধবীসহ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন জাহেদ হোসেন(২৬) নামে এক প্রবাসী। ছিনতাইকারীরা তার দামী মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে আরো মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধারসহ ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়ার মাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আজ রবিবার(৭ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পদুয়া ৪নং ওয়ার্ড দ্বারীকোপ এলাকার আশরাফুজ্জামানের ছেলে মো. আরিফ (১৯), একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬), আবুল কাশেমের ছেলে মানিক হোসেন (১৯), জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. আরিফ (১৯), মো. ইছহাকের ছেলে মো. রাশেদ (২০) ও মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ইয়াছিন (২০)।
ছিনতাইয়ের শিকার প্রবাসী জাহেদ হোসেন জানান, তার বাড়িও একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মোবারক টিলা এলাকায়। তিনি তার এক বান্ধবীসহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বার আউলিয়ার মাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। তারা বার আউলিয়া ব্রিজের কাছাকাছি এলে ছিনতাইকারীর দল তাদের গতিরোধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে একটি ৭০ হাজার টাকা দামের মুঠোফোন এবং পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আরও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তাদের মারধর করে এবং তার বড় ভাইয়ের কাছে ফোন করায়।
একপর্যায়ে প্রবাসীর বড় ভাই লোকজন নিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করলেও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ছিনতাইকারী মো. আরিফকে ও পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বলেন, “ছিনতাইয়ের খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে তাদের উদ্ধার করি। পরে অভিযান চালিয়ে জড়িত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় প্রবাসী জাহেদ থানার মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় গ্রেফতারকারীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”