উখিয়ার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উখিয়া উপজেলা পরিষদ গেইট সংলগ্ন আরাফাত হোটেলের ৩০৪ কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলের প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করে মরদেহ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।
জানা যায়, বোরকা ও সাদা শার্ট পরিহিত তরুণীর মরদেহ গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত ছিলো। হোটেলের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ তথ্যে, এ তরুণী নুসরাত জাহান লিজা (২৩) নামে ৩০৪ নং কক্ষটি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ভাড়া নেন। যেখানে তার ঠিকানা দেয়া হয় টেকনাফের হ্নীলা ও পেশা চাকুরী উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও রেজিস্ট্রারে পিতার নাম জিসান মিয়া ও মাতা রোজিনা এবং একটি ফোন নাম্বার উল্লেখ করে ওই তরুণী।
নিহত তরুণীর মা জহুরা খাতুন গতকাল দুপুরে লাশ শনাক্ত করে জানান, তার মেয়ের নাম ইয়াসমিন আক্তার (১৯)। কুতুপালং পুরাতন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ডি ব্লকের আবদুল গফুরের মেয়ে সে। সে এনজিও ফোরাম নামের এনজিওতে ভলান্টিয়ারের চাকরি করছিল। তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে ক্যাম্পের ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ইয়াসমিন। তার সাথে একজন এপিবিএন পুলিশ সদস্যের সম্পর্ক ছিল। হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ নম্বরটি চেক করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমি ওই এপিবিএন পুলিশ সদস্যকে বলেছিলাম, তোমার আত্মীয়দের নিয়ে এসো, আমি মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব। কিন্তু সে আমার মেয়েকে হোটেলে এনে কী করেছে এবং কেন হত্যা করা হয়েছে? এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহাম্মদ আলী বলেন, মধ্যরাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। ভেতর থেকে রুমটি বন্ধ ছিলো, সকালে সিআইডির প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি।