একের পর এক সিআর কয়েলবাহী বার্জের ধাক্কার ঘটনা ঘটেই চলছে পটিয়ার কোলাগাঁও কালারপোল অহিদিয়া ‘আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’ সেতুতে। উদ্বোধনের আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আবারো শিল্প গ্রুপ এস আলমের সি আর কয়েলবাহী বার্জের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল। এদিকে একের পর এক পণ্যবাহী বার্জের ধাক্কার ঘটনায় সেতুর স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বিকট শব্দে ঘটনাটি ঘটার পর পণ্যবাহী বার্জটি সেতুর সঙ্গে আটকে থাকে। এর আগে চলতি বছরের ২১ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে একই শিল্প গ্রুপের পণ্যবাহী বার্জের ধাক্কা লাগে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির ফলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা সেতুটিতে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকাও করছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে এবং চলতি মাসেই সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পার্শ্ববর্তী একটি স্টিল মিলের পণ্যবাহী বার্জের ধাক্কায় ৫৭০ ফুট প্রস্থ ও ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের তিন স্প্যানবিশিষ্ট সেতুর একাংশ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বেইলি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্তের পর স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী কালারপোল সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সেতু’ নাম দিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। নির্মাণকাজ শেষে সেতুটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকবার এস আলম গ্রুপের পণ্যবাহী বার্জের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল।
কালারপোল সেতু উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রহিম জানান, কালারপোল সেতুতে একের পর এক পণ্যবাহী বার্জের ধাক্কা সেতুটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবারও একইভাবে সেতুতে বার্জের ধাক্কার ঘটনা ঘটল। ধাক্কায় সেতুটি প্রচণ্ডভাবে কেঁপে উঠে। এভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকলে এ সেতু নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ভেঙে পড়বে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার কারণে স্থানীয়দের মনে নানা সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন অফ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।