অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও পাচারের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
আজ মঙ্গলবার(২ আগস্ট) সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারে মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। মামলার অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বর্ণিত এজাহার থেকে জানা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেন মো. মনিরুজ্জামান।
এজাহারে আরও বলা হয়, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে চার কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৩ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জন করেছেন যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। তিনি অবৈধভাবে অর্জিত ও অপরাধলব্ধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ভোগ দখলে রাখেন।
তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
ঘটনার বিবরণে আরো উল্লেখ করা হয়, আসামি মো. মনিরুজ্জামান তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ১০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাই করে তার নামে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন এবং মনিরুজ্জামান তার নিজ নামে দু’টি ভবন নির্মাণ ব্যয় বাবদ এই টাকা গোপন করেছেন।
তবে এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, “আমার অর্জিত সম্পদের আয়কর বিবরণী যথাযথভাবে কমিশনে জমা দিয়েছি। ভবন নির্মাণ খরচ ও বিবরণীও যথাযথভাবে দাখিল করেছি। নির্মাণকালীন সময়ের নির্মাণ সামগ্রীর খরচ ও বর্তমান সময়ের খরচ তো এক নয়।”
তিনি বিষয়টি আইনীভাবে মোকাবেলা করবেন বলেও জানান।