জুলাই মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের ৪০ শতাংশের বেশি টিকা নেননি। এ সময় ৩১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা এ বছরের মধ্যে এক মাসের সর্বোচ্চ। খবর বিডিনিউজের। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত সাত মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭১৮ জন। এ সময় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২১৯ জনের। জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭২ জন; মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। এই ১৪২ জনের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন, ৪০ দশমিক ১ শতাংশ টিকা নেননি। দেশে গত একদিনে আরও ৩৪৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে ৬ শতাংশের নিচে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৫ হাজার ৬০৬ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এদিকে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে গতকালের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গত রোববার চট্টগ্রামের ২৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন পজিটিভ ২৩ জনের মধ্যে শহরের ১২ ও ছয় উপজেলার ১১ জন। উপজেলার ১১ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডে ২ জন করে এবং মীরসরাই, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৪০ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৬৯১ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই। এদের মধ্যে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।