অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বছরের প্রথম মাস থেকেই ইতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে রাজস্ব আদায়। জুলাই মাসের ৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ জুলাই মাসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৫৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। অপরদিকে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১ হাজার ৪৪৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে ৪২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে মাসভিত্তিক হিসেবে অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, আগস্টে ৫ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, অক্টোবরে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, নভেম্বরে ৬ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ৬ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে ৬ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৫ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা, মার্চে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, এপ্রিলে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, মে মাসে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা এবং জুনে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনবিআর।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সালাহউদ্দিন রিজভী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, মুদ্রাস্ফীতিসহ অর্থনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আশাব্যঞ্জকভাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বিগত বছরের তুলনায় ৪২ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন অর্থবছর শুরু করলো চট্টগ্রাম কাস্টমস। সঠিক সিপিসির ব্যবহার, যথাযথ এইচএস কোড এবং ভ্যালুতে পণ্যের শুল্কায়নের ফলে রাজস্ব আহরণে ৪২ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা আদায় হয়। যা চট্টগ্রাম কাস্টমসের জন্য রেকর্ড। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।