চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড বন্যার কারণে তিন মাস পিছিয়ে যাওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ করেছে আজ রবিবার(৩১ জুলাই)।
মহামারীর কারণে চার মাস পিছিয়ে গত ১৯ জুন চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার আগ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
নতুন সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র ১৭ সেপ্টেম্বর, ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ১৯ সেপ্টেম্বর এবং ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ২০ সেপ্টেম্বর নেওয়া হবে।
গণিত (আবশ্যিক) ২২ সেপ্টেম্বর; পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২৪ সেপ্টেম্বর; গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত (তত্ত্বীয়), আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) এবং চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষা ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
রসায়ন (তত্ত্বীয়), পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ ২৬ সেপ্টেম্বর; ভূগোল ও পরিবেশ ২৭ সেপ্টেম্বর; জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং অর্থনীতি পরীক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বর নেওয়া হবে।
এছাড়া হিসাববিজ্ঞান ২৯ সেপ্টেম্বর এবং উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষায় বসতে হবে ১ অক্টোবর।
সব বিষয়ের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে।
পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর তিনদিন আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে নিতে হবে প্রবেশপত্র।
সঙ্গীতসহ অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
এবার পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান-এসব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র-এই বিষয়গুলোতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে সেগুলোতে ৪৫ নম্বরের (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর) এবং ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।