নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনের পার্লামেন্টে আবারও ঢুকে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর নেতৃত্বে সরকার গঠনের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে হাজারো ক্ষুব্ধ জনতাকে পার্লামেন্টের ভেতরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস ও শব্দ বোমা নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সবাই দেশটির শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের অনুসারী।
মুক্তাদা আল সদরের প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার বিরোধিতা করে গতকাল শনিবার পার্লামেন্টে তাণ্ডব চালায় ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এদিন গত বুধবারের বিক্ষোভকেও ছাড়িয়ে যায়। কেউ কেউ পার্লামেন্টের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। গ্রিন জোনকে ঘিরে থাকা বেশ কয়েকটি বড় কংক্রিটের প্রাচীর টপকাতে দড়ি ব্যবহার করেন অনেকে। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী এদিন কঠোর অবস্থানে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বাধ্য হয়ে শব্দ বোমা ও কাঁদানে গুলি ছুড়ে তারা। জবাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা বার্তা সংস্থা এপির এক সাংবাদিক। এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের অধিবেশন বাতিল হয়ে যায়, কোনও আইনপ্রণেতাকেও পার্লামেন্টে দেখা যায়নি।
বিবৃতিতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাদিমি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইরাকে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো কোনও নেতার বিষয়ে একমত হতে পারেনি। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছাড়াই চলছে ইরাক। আল-সদরের জোটই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল।