‘শেষ সিটে ছিলাম তাই বেঁচে যাই’

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ জুলাই, ২০২২ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় চুরমার হওয়া মাইক্রোবাস থেকে বেঁচে ফেরাদের মধ্যে একজন জুনাইদ কাউসার ইমন। তিনি হাটহাজারী থানার আমান বাজার খন্দকিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। ইমন গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি আজাদীকে বলেন, আমাদের মাইক্রোবাসটি যখন সোয়া ১ টার দিকে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল তখন ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বা ব্যারিকেড ছিল না। সেসময় বৃষ্টিও হচ্ছিল। আমাদের ড্রাইভার ট্রেন আসছে সেটা দেখেনি। রেললাইনে উঠার সাথে সাথেই আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচণ্ড বেগে ট্রেনটি আমাদের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে সামনে অনেক দূর নিয়ে যায়। আমি মাইক্রোবাসের শেষের সিটে বসে ছিলাম, দুর্ঘটনার সময় কাচ ভেঙে বের হয়ে যাই। আমার পাশে থাকা আরও দুই বন্ধু বের হতে পারলেও মাঝখানে যারা ছিলেন তখন তাদের কোনো সাড়া শব্দ ছিলো না। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবায় কল দিলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আসেন। এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন এবং ট্রেনের যাত্রীরা নেমে মাইক্রোবাস থেকে আমাদের আরো কয়েকজনকে জীবিত বের করেন। আমরা দেখেছি ঐ সময় ক্রসিং এলাকায় কেউ ছিল না।
কলেজ শিক্ষার্থী জুনাইদ কাউসার ইমন বলেন, আমরা আমান বাজার থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়েছি। যখন জুমার আজান দিচ্ছিল তখন আমরা ঝরনায় ছিলাম। সেখান থেকে আসার সময় সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, মাইক্রোবাসে আমরা ১৮ জন ছিল, ৪ জন কোচিংয়ের শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন চালক ও সহযোগী ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলাম’
পরবর্তী নিবন্ধএ মৃত্যুর দায় কার