চট্টগ্রামের আড়তগুলোতে কোরবানির সংরক্ষিত কাঁচা চামড়া বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের রিফ লেদারসহ ঢাকার ট্যানারিগুলোর কাছে আড়তগুলো এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো চামড়া বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদার। গত ১০ জুলাই কোরবানির দিন বিকালের পর থেকে রাতের মধ্যেই নগরী ও জেলার আড়তগুলোতে প্রায় ৪ লাখের মতো কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছিল আড়তদাররা। গত কয়েকদিন থেকে ঢাকার ট্যানারির প্রতিনিধিরা চট্টগ্রামের আড়ত থেকে চামড়া ক্রয় শুরু করেছে। চামড়া সংগ্রহের পর থেকেই ট্যানারির মালিকদের প্রতি চট্টগ্রামের আড়তদারদের দাবি ছিল চামড়া কেনার সময় তারা যেন ন্যায্য দামটুকু দেন। এখন প্রত্যাশিত দাম পেয়ে খুশি আড়তদাররা।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, কোরবানির সংরক্ষিত কাঁচা চামড়া বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে। মহানগরীর বিবিরহাট আতুরার ডিপো, দেওয়ানহাট পেস্তারপাড়, সাগরিকা ও ঈশানমিস্ত্রির হাটসহ সবখানে বিক্রি চলছে। নগরীর আড়তগুলোর পাশাপাশি গ্রামে সংরক্ষিত চামড়াগুলোও বিক্রি চলছে। নগরীতে প্রায় ৫০ হাজারের মতো বিক্রি হয়েছে। গ্রামের মধ্যে নাজিরহাট, রাউজান, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের মতো চামড়া বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাবে। চামড়া বিক্রিতে আড়তদাররা যেভাবে লাভের আশা করছিলেন সেরকম লাভে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি চামড়ায় লবণ দেয়া এবং আড়তের শ্রমিকদের মজুরি বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন আরো বলেন, মহানগরীতে আমরা ৪৫ আড়তদার ১ লাখ ৫৩ হাজার চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছিলাম। এছাড়াও উপজেলায় আরো আড়াই লাখের মতো চামড়া সংরক্ষণ করেছিল। ঢাকার ট্যানারি মালিকরা এসে নিয়ে যাচ্ছে। আবার যাদের সাথে পরিচয় আছে, ঐ পরিচয় সূত্রে অনেকেই ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের আড়তদাররা জানান, মহানগরীর ৪৫ জন আড়তদার ১ লাখ ৫৩ হাজার এবং জেলার নাজিরহাট, রাউজান, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, সাতকানিয়া, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন উপজেলায় আরো আড়াই লাখের মতো কোরবানির কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এই ৪ লাখ চামড়া গড়ে ৮শ’ টাকায় বিক্রি করতে পারলে এবার ৩২ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আড়তদাররা।