আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়েছেন জানে আলম নামে মামলার এক বাদী। এ সময় তিনি চোখ ও মুখে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে নারী শিশু বিল্ডিং এবং জেলা জজ আদালত ভবনের সংযোগ ব্রিজে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আগে থেকে উৎপেতে থেকে জানে আলমের উপর এ হামলা করে। হামলার শিকার হওয়া ওই যুবক ১৭ নং রোড অটো-টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
জানে আলমের আইনজীবী জুয়েল দাশ আজাদীকে বলেন, গত জানুয়ারি মাসে কোতোয়ালি থানায় আমার মক্কেল কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়। সে মামলায় তিনি হাজিরা দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এরমধ্যে উক্ত মামলার আসামিরা তার উপর হামলা করেন। মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তার উপর এ হামলা করা হয়। মারধরের ফলে আমার মক্কেল চোখে মারাত্বকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার একটি দাঁত পড়ে যায়। এছাড়া শীরেরর বিভিন্ন স্থানে তিনি আঘাত পেয়েছেন। ১০ থেকে ১৫ টি সেলাই পড়েছে। এ ঘটনায় মো. সুজন নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে আইনজীবী সমিতিতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আইনজীবী বলেন, এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমার মক্কেল ৯ জনকে শনাক্ত করেছেন। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে আমরা থানায় এজহার দায়ের করব।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে বলেন, দুপক্ষের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একজনকে আটক করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসা হয়। আমরা মিমাংসা করে দিয়েছি। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির আজাদীকে বলেন, কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।