সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াত অন্যতম মাধ্যমই হলো গণপরিবহন। অফিস আদালত কিংবা চিত্তবিনোদন তাদের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম সাধারণ গণপরিবহন, তবে যারা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন তাদের একমাত্র বাহন সিটি সার্ভিস বাস, লেগুনা হিউম্যান হলার, ম্যাঙ্মিা মিনিবাস ইত্যাদি, এসব গণপরিবহনে আসন সংখ্যা নিয়ে যাত্রীদের প্রকৃত কোনো ধারণা না থাকায় একশ্রেণির অসাধু পরিবহন মালিক বেশি মুনাফার আশায় নিজেদের ইচ্ছা মাফিক অতিরিক্ত আসন জুড়ে দেয় গাড়িতে, এতে গাড়ির ভিতরে যাত্রীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়, ঝুলন্ত যাত্রীতো আছেই। এমনও অনেক গাড়ি দেখা যায় একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যাত্রী সিটে বসতে পারলেও হাঁটু লেগে থাকে সামনে থাকা সিটের সাথে, অথচ গাড়ির কাগজপত্রে ব্লুবুকে আসন সংখ্যা উল্লেখ থাকে। কতজন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে কিভাবে করবে তা বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও এসব দেখার কেউ নেই। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে অতিরিক্ত আসন (সিট) লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে আর এদিকে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী, শহরের ইন্টার সিটি প্রতিটি গণপরিবহনের চিত্র একই। কোনো কোনো গাড়িতে পাঁচজন যাত্রী যেখানে একত্রে বসতে কষ্ট হয় সেখানে ছয়জন করে যাত্রী না নিয়ে গাড়ি ছাড়ে না, সিটির বাইরে ছেড়ে যাওয়া লোকাল সার্ভিস গুলোরও একই অবস্থা, এসব ব্যাপারে আইন থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এমতাবস্থায় নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়ানো সময়োপযোগী দাবি।
আলমগীর হোসাইন
সিটি গেইট, কর্নেল হাট, চট্টগ্রাম।