সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের দেশে ফেরার এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দেশটির মন্ত্রিসভার এক মুখপাত্র। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন। শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বান্দুলা গুনাবর্ধনা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন। গত ১৪ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সিঙ্গাপুরে যান গোটাবায়া রাজাপাকসে। সেখানে গোটাবায়াকে ১৪ দিনের স্বল্প মেয়াদী ‘ভিজিট পাস’ দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। পরে তিনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে যান। খবর বিডিনিউজের।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর ইমেইলে পদত্যাগপত্র শ্রীলংকায় পাঠিয়েছিলেন গোটাবায়া। প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে সিঙ্গাপুরে আছেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদেরকে শ্রীলংকার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বান্দুলা বলেন, আমি যতদূর জানি তিনি ফিরে আসবেন। তবে গোটাবায়া কবে, কখন শ্রীলঙ্কায় ফিরবেন সে ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন বান্দুলা। তিনি বলেন, গোটাবায়া রাজাপাকসে লুকিয়ে নেই কিংবা নির্বাসনেও নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীলংকার এক সরকারি কর্মকর্তাও বলেছেন, গোটাবায়া যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান এবং তিনি কলোম্বার উপকণ্ঠে তার নিজস্ব বাসভবনে থাকতে আগ্রহী।
সিঙ্গাপুরে গোটাবায়াকে সরকারি কোনও ভূমিকায় না থাকা একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত দেশটিতে শ্রীলংকার নাগরিকদেরকে ৩০ দিনের ভিসা দেওয়া হয়। যদিও গোটাবায়াকে আরও স্বল্পমেয়াদী পাস দেওয়া হয়েছে এবং শ্রীলংকায় বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেই তিনি ফিরে যাবেন বলে গণমাধ্যমগুলোতে জল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুরে থাকা গোটাবায়াকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের আর্জি জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক অধিকার সংগঠন ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট’। সংগঠনটি গোটাবায়ার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় তামিল বিদ্রোহী দমনাভিযানে জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। ওই সময় তিনি শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।