সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন-নিপীড়নের অভিযোগে নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত সোমবার বিকালে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম সরকার। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। নজরুল ইসলাম উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের রেল স্টেশন রোড এলাকায় এইচএস হক ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী যৌন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বরাবরে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ইউএনও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীকে শিক্ষক নজরুল ইসলাম প্রাইভেট পড়াতেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। যৌন নিপীড়নের প্রতিকার চেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেন।
ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত শিক্ষক, স্কুল কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি কঠোরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম সরকার জানান, এইচএস হক ইনস্টিটিউট নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানের কোন স্বীকৃতি নেই। অবৈধভাবে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কোনো এমপিও নেই। তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষককে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে। তদন্তের স্বার্থে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখন আপাতত ওই শিক্ষার্থীকে এইচএস হক ইনস্টিটিউট থেকে সরিয়ে ভাটিয়ারী হাজী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয় অথবা শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের যেটি তার জন্য সুবিধা হবে সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য অভিভাবককে জানানো হয়েছে।
এইচ এস হক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মুন্না বলেন, উপজেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এ অভিযোগের পর গতকাল থেকে শিক্ষকদের স্কুল ক্যাম্পাসে না পড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
