কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করেছে। এর আগে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগ নেতা ইমনের দুই দফা জানাজার নামাজে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ নেতার পিতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাছান বাদি হয়ে আবদুল্লাহ খান, রমজান ও ছৈয়দ আকবরসহ ৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কঙবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার রাতে ওয়াসিম ও মিজান নামের দুই জনকে আটক করেছে। তিনি জানান, পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা ইমন হাসান মওলা শহরের উত্তর টেকপাড়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাছানের ছেলে ও কঙবাজার শহর ছাত্রলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিতার মোটরসাইকেল নিয়ে পেশকার পাড়ার বাঁকখালী নদীর সিকো বরফকল পয়েন্টে ঘুরতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে ছুরিকাহত হন। এসময় ইমনকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কঙবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার সকালে তার নামাজে জানাযা শেষে খরুলিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। সকাল ৯টা ও ১১টায় দুই দফায় অনুষ্ঠিত জানাজায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোকাহত মানুষের ঢল নামে।










