অভিযুক্ত পুত্রবধূ তিন দিনের রিমান্ডে

শাশুড়িকে হত্যা করে ৬ টুকরো

রামু প্রতিনিধি | রবিবার , ২৪ জুলাই, ২০২২ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির উমখালীতে মমতাজ বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে ছয় টুকরো করে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে জেলা কারাগার থেকে তাকে রামু থানায় নেওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে রামু থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন আজাদীকে বলেন, এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত রাশেদা বেগম। তাকে কারাগার থেকে আনার পরই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জের ধরে রাশেদা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শাশুড়ি মমতাজকে হত্যা করেছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। তবে এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা অনুসন্ধান চলছে। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ১৬ জুলাই উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালীতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মমতাজ বেগমকে। এরপর তার লাশ ছয় টুকরো করে বস্তায় ভরে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে ফেলা হয়। ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় মাটি খুঁড়ে মমতাজের মরদেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে মমতাজের একমাত্র ছেলে মো. আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ জুলাই বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ১৯ জুলাই নিহত মমতাজের মেয়ে আয়েশা বেগম বাদী হয়ে রাশেদা বেগম, তার দুই ভাই অলী উল্লাহ, তারেক উল্লাহ ও বাবা সৈয়দ নুরকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করছেন রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর মমতাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার উমখালী হাজির পাড়া এলাকায় রাজারকুল-চেইন্দা সড়কে মমতাজ বেগমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএপিক আমার বাবা কনটেস্টে পুরস্কৃত তিন তরুণ
পরবর্তী নিবন্ধলায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সভায় কামরুন মালেক