সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৯০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যা আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া গত ১২ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ আদায় বলছেন ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৫৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আগস্ট মাসে ৬৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৬৯৩ কোটি টাকা, অক্টোবরে ৬৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ডিসেম্বরে ৮৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, জানুয়ারিতে ৯৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৮৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মার্চে ৮৮১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, এপ্রিলে ৯২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, মে মাসে ১ হাজার ১৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং জুনে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
অপরদিকে গত ১২ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৪৪ কোটি টাকা, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ২৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৮ হাজার ৫৩২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৩৮২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থছরে আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৯০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো.আকবর হোসেন বলেন, ভ্যাট আদায়ে আগের চেয়ে গতি বেড়েছে। এটি একটি ভালো দিক। ভ্যাট ফাঁকি রোধে আমাদের টিম এখন অনেক বেশি তৎপর। এ ছাড়া ভ্যাটের আওতা বাড়ানো, ভ্যাট নিয়ে ভীতি দূর করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটে মার্কেটে ভ্যাট বুথ বসিয়ে ভ্যাট আদায় করেছি। ভ্যাট মেলার আয়োজন করেছি। বিভিন্ন দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন করা হচ্ছে। এতেও ভ্যাট আদায় বেড়েছে। এ ছাড়া আমরা প্রিভেন্টিভ কার্যক্রম জোরদার করেছি। বকেয়া ভ্যাট আদায়ে জোর দিয়েছি।