চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) অযৌক্তিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত শুক্রবার সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. সামসুল হক ও সদস্য সচিব মো. শফিউল্লাহ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সালে তৎকালীন মেয়র চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির জন্য একতরফা সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময় একতরফা অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।
ভবনমালিকদের কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। নগদ অর্থ আদায়ের অভিযোগও ছিল। যারা অর্থ দেননি তাদের ভ্যালুয়েশন ১০-২০ গুণ থেকে শুরু ১০০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ কাজ করেন। ফলে পুরো অ্যাসেসমেন্টের বিষয়টি বিতর্কিত হয়েছিল।
নগরবাসীসহ প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে ও প্রতিবাদে বিষয়টি স্থগিত করতে বাধ্য হয় মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাস আগে চসিকের হোল্ডিং ট্যাঙ পুনর্মূল্যায়নের ওপর পূর্বের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহকরের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছিল সে অনুযায়ী কর আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শহরের ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিংয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে, যা দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৭-১৮ সালের মূল্যায়ন অনুসারে বর্ধিত কর দেয়া নগরবাসীর পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমান মেয়র এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করছেন না। তিনি হোল্ডিং ট্যাঙ না বাড়ানোর নির্বাচনী অঙ্গীকার থেকে সরে গেছেন, যা নগরবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং করোনার ক্ষতির কারণে নগরবাসী কষ্টে আছেন। এর মধ্যে অযৌক্তিক হারে হোল্ডিং ট্যাঙ বৃদ্ধি কখনও মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে চসিককে তার সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান তারা।