বদলে গেছে ৫০ শয্যার পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এখন হাসপাতালের অভ্যন্তরে নেই আগের মতো দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সন্ধ্যায় মাদক সেবীদের আনাগোনাসহ নানা বিশৃঙ্খলা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুষ্ঠ পরিচালনায় পটিয়া ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে সার্বক্ষণিক একজন সিকিউরিটি গার্ড, অন্তঃবিভাগে একজন আয়া, জরুরি বিভাগের জন্য একটি আইপিএস প্রদান করা হয়েছে। এর পূর্বে হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তায় সিসি ক্যামরা স্থাপন ও সৌন্দর্যবর্ধনে দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান করা হয়।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবার মান অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের যেকোনো ধরণের সমস্যা সমাধান ও স্বাস্থ্য সেবার মানোউন্নয়নে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সেবাখাতসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেখা শুনা করার দায়িত্ব সরকারের একার নয়। এতে স্থানীয় ও সচেতন মহল নানাভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে। এতে স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ বলেন, হাসপাতালে এখন প্রতিদিন ইনডোরে ১২৬, জরুরি বিভাগে ১৫০ এবং আউটডোরে প্রতিদিন ৪শ’ জনের অধিক মানুষ স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন। এছাড়া হাসপাতালের রাজস্ব আদায়ের হারও দেড়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে আইভিশন সেন্টারে ট্রেনিং প্রাপ্তরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে চক্ষু, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এখানে এ দুজন চিকিৎসক দেয়া হলে হাসপাতালের সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী নুরুল আবছার বলেন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৃক্সখলা রক্ষা ও সৌন্দর্য্যবর্ধনে হুইপের ব্যক্তিগত সংগঠন ‘পটিয়া ফাউন্ডেশন’ হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম ও সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।












