চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রতিবছর সংস্কারের ফলে মূল সড়কের সাথে দুই পাশের উচ্চতার পার্থক্য তৈরি হয়েছে। দু’পাশের অসমান অংশ মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়ার কথা বলে আসছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাজের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। ফলে মহাসড়কের দু’পাশে এসব অসমান অংশ হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। যার কারণে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, মহাসড়কের মইজ্যারটেক থেকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকা পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটারের দেখভাল করে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে প্রতিবছর মহাসড়কের সিংহভাগ অংশে সংস্কার প্রয়োজন হয়। এতে নতুন করে কার্পেটিং এর ফলে মহাসড়কের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের মূল অংশের সাথে দু’পাশের অসমান অংশের দূরত্ব দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার অনেক স্থানে দূরত্ব আরো বেশি। মূল সড়কে উঠা-নামার দু’পাশের অসমান অংশই হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ ছোট যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। অনেক সময় মালবোঝাই ভারী যানবাহনও মূল সড়কের দু’পাশের অসমান অংশের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
মোটরসাইকেল আরোহী শফিউল আলম বলেন, মহাসড়কটি দুই লেনের হওয়ায় একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে মূল সড়কে আর জায়গা থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক থেকে নেমে যেতে হয়।
মহাসড়কের উচ্চতা বৃদ্ধি ও দু’পাশ অসমান অংশের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলসহ অন্য ছোট যানবাহন মূল সড়কে উঠানামা করতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখার সভাপতি মোজাহিদ হোছাইন সাগর বলেন, এমনিতে চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত না হওয়ায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে প্রতিবছর মহাসড়কের মূল অংশের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মহাসড়কের দু’পাশে অসমান অংশের দূরত্বও বাড়ছে। প্রায় সমসয় ঘটছে দুর্ঘটনা। দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়কের দু’পাশের অসমান অংশ মাটি দ্বারা ভরাট করে দেয়া হবে।