তাইওয়ানে এখনই চীনের আগ্রাসনের আশঙ্কা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র খুবই গভীরভাবে চীনকে পর্যবেক্ষণে রাখছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি। বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনের আগ্রাসনের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু যদি চীন এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেটি তাদের রাজনৈতিক পছন্দ হবে। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করলেও চীন তাদের নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। খবর বিডিনিউজের।
যারা একদিন পুনরায় মিলিত হবে। তাইওয়ানকে পুনরায় নিজেদের অংশ করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে চীন। চীনের কাছে তাইওয়ান খুবই সংবেদনশীল বিষয়। তাইওয়ানের ক্ষেত্রে চীনের নীতি অনুসরণ করা বা না করার উপর বেইজিংয়ের বৈদেশিক সম্পর্ক অনেকাংশে নির্ভর করে। ইদানিং চীন অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করছে। এবং যদি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয় তবে নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে তা প্রতিহত করার প্রতিজ্ঞা করেছে চীন। আন্তর্জাতিকভাবে তাইওয়ানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। যদিও দেশটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠনিকভাবে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। কিন্তু তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে তাইপেকে সহায়তা করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের বড় ক্রেতা তাইওয়ান। নিয়মিত দেশটি তাইওয়ানের কাছে তাদের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিক্রি করে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র খুব সতর্ক থেকে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। তারা তাইওয়ান বিষয়ে চীনের এক সরকার নীতিরও স্বীকৃতি দেয়।
সমপ্রতি চীন নিয়মিতই তাইওয়ানের আকাশ সুরক্ষা অঞ্চলে নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এদিকে, শক্তিপ্রদর্শনে এবং মিত্রকে আশ্বস্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তাইওয়ানের কাছে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে চীন বিপদ নিয়ে খেলছে। আক্রান্ত হলে তাইওয়ানকে সামরিকভাবে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। অন্যদিকে বেইজিংয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের বিষয়ে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে এবং চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তারা বলেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা আটকাতে প্রয়োজনে একটি পূর্ণ যুদ্ধ শুরু করতে চীন দ্বিধা করবে না।