বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম জেলা দল। গতকাল ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম জেলা দল টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে মাগুরা জেলা দলকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। আগামী ৪ জুলাই ফাইনালে চট্টগ্রাম জেলা দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলের। দীর্ঘ ২১ বছরের ও বেশি সময় পর কোনো জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম। সেবার বাংলাদেশ গেমসে শিরোপা জিতেছিল চট্টগ্রাম।
গতকাল পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে জিততে হয়েছে চট্টগ্রামকে। আর সেখানে দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক চট্টগ্রাম জেলা দলের গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া। তার বীরত্বে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে চট্টগ্রাম। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে চট্টগ্রাম। বারবার আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। মাগুরা জেলা দলের গোল পোস্ট লক্ষ্য করে একাধিক শট নিলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি চট্টগ্রাম। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক চট্টগ্রাম। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছিল না। বলতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটাই একচেটিয়া ফুটবল খেলেছে চট্টগ্রাম। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল না হওয়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় খেলা। সেখানেও প্রথম ১৫ মিনিটে গোল পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয় ১৫ মিনিটের ৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ডান প্রান্ত থেকে পাওয়া পাস ধরে দারুণ এক প্লেসিং শটে গোল করেন সায়মন। তবে চট্টগ্রামের উচ্ছ্বাস স্থায়ী ছিল মাত্র দুই মিনিট। চট্টগ্রামের রক্ষণভাগ এবং গোল রক্ষকের ভুলে গোল পরিশোধ করে মাগুরা। তবে দুই মিনিট পর জটলা থেকে একাধিক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারেনি চট্টগ্রামের স্ট্রাইকাররা। ফলে ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। আর তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে চট্টগ্রাম ৪-২ গোলে মাগুরা জেলা দলকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় চট্টগ্রাম জেলা দল। প্রতিপক্ষের তৃতীয় এবং চতুর্থ শট রুখে দেন চট্টগ্রামের গোলরক্ষক উত্তম। আর চট্টগ্রামের ফুটবলাররা চার শটেই গোল করে। চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের আবু হেনা মোস্তফা কামাল টুলু, তাহেরুল আলম স্বপন, সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য নাসির মিয়া, কাজী জসিম, মাসুদ পারভেজ কায়সার, মোর্শেদ ইকবাল প্রমুখ সংগঠকবৃন্দ।