অ্যালিসা কারসন, স্বপ্ন যার মঙ্গল গ্রহে পা রাখা। শুধু তাই নয়, মঙ্গলে পৌঁছনোর পর তিনি আর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না। সেখানেই বাস করবেন। সেজন্য সব প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ২০ বছর বয়সী আ্যালিসা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দীর্ঘদিন ধরে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব তথ্য যদি ঠিক হয়, তাহলে অ্যালিসা হবেন পৃথিবীর একমাত্র মানুষ যিনি মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বসবাস করবেন।
তবে নাসা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানায়, অ্যালিসার ‘লাল গ্রহ’ এ পা রাখার প্রবল আকাঙ্খা থাকলেও বাস্তবে তাঁকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, এই অভিযানে যাঁরা যাবেন, তাঁরা সকলেই আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়েই যাবেন।
এদিকে একাধিক ওয়েবসাইট এ-ও দাবি করেছে, অসংখ্য মহাকাশ ক্যাম্প এবং মহাকাশ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যালিসা। গুজব রটেছিল, অ্যালিসার মধ্যে বিশেষ কোনও জিন প্রবেশ করানো হচ্ছে যাতে তিনি মঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। যাতে তাঁর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এসব দাবিও মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি নাসার।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে সংস্থার তরফে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা চললেও অ্যালিসা বলে কেউ সেই অভিযানের অংশ নন। নাসার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নাসার বিভিন্ন অভিযানে আগ্রহী পড়ুয়াদের শামিল করা হয়। কিন্তু অ্যালিসা নামক কোনও ২০ বছর বয়সী পড়ুয়া কোনও অভিযানে নেই বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নাসার আগামী মঙ্গল অভিযানে কারা যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেও নাসার তরফে জানানো হয়েছে। নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এক জন মহাকাশচারী হওয়ার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন, তা অ্যালিসার নেই।
জানা যায়, অ্যালিসা আমেরিকার বাসিন্দা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তার নভশ্চর হওয়ার এবং মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল। তার বাবা জানান, তার মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হলে সে এক পায়ে যেতে রাজি। এমনকি, তাকে ফিরিয়ে না আনা হলেও সে যেতে রাজি বলে তিনি দাবি করেছেন। অ্যালিসার বিশ্বাস ছিল, তাকে মঙ্গল অভিযানে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনকি ২০১৮ সালে, টিন ভোগ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পরে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তবে অ্যালিসার পরিবার মনে করছে, এখন যেতে না পারলেও ভবিষ্যতে ঠিক মঙ্গল অভিযানে যাবেন তিনি।