সহযোগীসহ মাদক ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা দম্পতি গ্রেপ্তার

রয়েছে নাগরিকত্ব, গড়েছেন সম্পদ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ঢুকেন ১৯৯৬ সালে। ছিলেন কক্সবাজারের টেকনাফের ক্যাম্পেই। সেখান থেকে চট্টগ্রামে আসেন ২০০০ সালে। এরপর বায়েজিদ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। ৬ বছর পর ২০০৭ সালে জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড বানিয়ে খুলশী এলাকার বাসিন্দা বনে যান। স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল ফোন, এমনকি জমির মালিকও তারা। নগরীর বায়েজিদের পশ্চিম শহীদনগর এলাকার একটি বাড়ির ৫ম তলা থেকে ইয়াবাসহ তিন নারী পুরুষকে গ্রেপ্তার পরবর্তী তাদের সম্পর্কে এসব তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন নূর আলম-হাছিনা বেগম দম্পতি ও তাদের সহযোগী মিনোয়ারা মুন্নি।

গত ২৭ জুন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়। বসতঘরের বিভিন্ন ফার্নিচারের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকানো সাড়ে চার হাজার পিস ইয়াবা, নগদ দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ১০টি স্বর্ণের চুড়ি, ৬টি স্বর্ণের আংটি, ১টি স্বর্ণের চেইন লকেট ও জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. আলী হোসেন এ বিষয়ে আজাদীকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা এবং মাদকব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেছেন। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই আমরা প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছি। কিভাবে তারা জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড বানিয়ে নাগরিকত্ব অর্জন করলেন, কারা তাদের সহযোগিতা করলেন- আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে এসব জবাব মিলবে।

আলী হোসেন বলেন, মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। খবর পেয়েই আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করি। তাদের বিশাল অবস্থা আমাদের চোখে পড়ল। রোহিঙ্গা হয়েও জমিসহ নানা সম্পদ তারা এখানে অর্জন করেছেন। এনআইডি অনুযায়ী খুলশী থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও তারা মাদক ব্যবসা করে থাকেন বায়েজিদ এলাকায়। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও মাদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে পিতার মৃত্যু পুত্র হাসপাতালে
পরবর্তী নিবন্ধকাল থেকে ট্রেনে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু