নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে জনতা।
আজ বুধবার(২৯ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাইন্দং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরো বেশ কিছু ছাত্র-জনতা প্রতিবাদে যোগ দেন।
এসময় প্রতিবাদকারীরা জানান, নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ গাড়ির ডকুমেন্ট দেখার নামে চালকদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি করছে দীর্ঘদিন ধরে।
দুই-তিন মাস আগে পেলাগাজীর দীঘির মোড়ে হাইওয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় ধানবাহী একটি জিপের চাপায় দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়।
এ ঘটনার পর বেশ কিছুদিন পুলিশের হয়রানি বন্ধ ছিল। গত রোজার ঈদের আগে থেকে এই হয়রানি আবার শুরু হয় বলে জানান উত্তেজিত জনতা।
এ সময় তাদের হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়।
ফটিকছড়ি ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, “নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ নয়াবাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে আমাদের অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সহ আমরাও প্রতিবাদ জানাই। পরে ওরা আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা গাড়ি ছেড়ে দিই। আমরা চাই ফটিকছড়িতে দিনের বেলায় কোনো চেকপোস্ট যাতে না বসে। কিছুদিন আগে হাইওয়ে পুলিশের কারণে দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। আমরা চাই এমন ঘটনা আর না ঘটুক।”
এ ব্যাপারে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করি মামলা দেয়ার জন্য। অটোরিকশাটির কাগজ-পত্র ছিল না। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসে মামলা না দিতে অনুরোধ করলে আমরা গাড়িটি ছেড়ে দিই।”