ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক দুটি হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ সেনা নিহত হয়েছে। আল কায়েদার জঙ্গিরা হামলাটি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সাবা ও কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সাবার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবিয়ান প্রদেশে রাতের বেলা সৌদি আরবের সমর্থিত বাহিনীগুলোর একটি বহর যাওয়ার সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা রাস্তারপাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর পর হামলা চালায়, এতে ৩ সেনা নিহত হয়; পরে আরও ২ সেনার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।
সাবা জানায়, বুধবার ভোররাতে শাবওয়া প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আতেকের একটি চেকপয়েন্টে সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর দ্বিতীয় আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটে, এখানে ৫ সেনা নিহত হয়। খবর বিডিনিউজের।
ইয়েমেনের দুজন কর্মকর্তা হামলার দুটি ঘটনাই নিশ্চিত করেছেন। উভয় হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ইয়েমেনভিত্তিত আল কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) তাদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতি ও সৌদি সমর্থনপুষ্ট জোট বাহিনীর মধ্যে সাত বছর ধরে চলা যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।
গত দশকজুড়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী, সৌদি জোট ও হুতিরা একিউিএপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালালেও তারা ইয়েমেনের দাঙ্গাহাঙ্গামা, পার্বত্য উপজাতিগুলোর সহানুভূতি ও দক্ষিণ ইয়েমেনের বিশাল ফাঁকা জায়গার সুযোগ নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখে।
সৌদি জোট ও হুতিদের মধ্যে অস্ত্রবিরতির কারণে যখন আকাশ, সাগর ও স্থলে সব ধরনের হামলা বন্ধ আছে তখনই এ প্রাণঘাতী হামলা দুটি চালানো হল। অস্ত্রবিরতির মধ্যে হুতি নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলো দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সানা বিমানবন্দর আংশিকভাবে ফের চালু করা হয়েছে।
এই অস্ত্রবিরতিই প্রথম চুক্তি যা ইয়েমেনে একটু স্বস্তির পরশ এনে দিচ্ছে। সাত বছর ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি দেশটি প্রায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল।