আবেগ ছাড়া বিবেক নয়, বিবেক ছাড়া আবেগ হয়না।একটি ফ্যান ঘুরতে যেমন নেগেটিভ পজিটিভ (ধনাত্মক ও ঋনাত্নক) প্রবাহের প্রয়োজন হয়। তেমনি আবার নারী পুরুষের মিলনেই সন্তান হয়। অর্থাৎ সকল জীবের অস্তিত্ব নির্ভর করে এমন বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণের ফলে। এজন্যই দরকার আবেগ ও বিবেক। অতিরিক্ত আবেগ দিয়ে জীবন হয়না। আবার বিবেকহীন মানুষের আবেগ থাকার প্রশ্নই আসে না।
ছোট্ট একটি জীবনে মানুষ কত কিছুই না করে। এক জীবনে সব হয়না, সব পাওয়া ও যায় না। জীবন তবুও চলে আপন গতিতে। না দেখার আকুতি কিংবা পাওয়ার আকাঙ্খা, শখ পূরণ হওয়া সবই চলে সবার জীবনে।কেউ কাঁদে সুখে কেউ কাঁদে দুঃখে। একটা কৌতুক বার বার শুনলে যেমন হাসি পায়না তেমনি একটু দুঃখ নিয়ে আজীবন কাটিয়ে দেয়া নির্বুদ্ধিতার শামিল। একটি ভুল আজীবন কাঁদায় কিংবা সেই ভুলের মাশুল দিতে হয় অবিরাম। আবার একটি সাফল্য জীবনকে ভাসিয়ে রাখে আপন মহিমায়। কেউ অল্প পেয়ে খুশি কেউ পেতে পেতে না পাওয়াতে সুখ খুঁজে বেড়ায়। যে মানুষটার মোবাইল কেনার সামর্থ্য নেই সে মোবাইল কিনতে মরিয়া এবং পাওয়াতে তার তৃপ্তি। অন্যদিকে জন্ম থেকেই সব পেয়ে অভ্যস্থ মানুষটি সুখ খুঁজতে বস্তিতে যায়।
কিংবা একান্তে নদীর ধারে বসে গল্প লিখে। বিপরীতে না পাওয়ার বেদনায় একজন আত্মাহুতি দেয়, পেতে পেতে আর পাওয়ার কিছুই নেই সেও একদিন জীবনের স্বাদ থেকে মুক্তি লাভ করে একি পন্থায়। ‘আবেগীয় মন, বিবেকহীন জীবন/ হয়না জীবনের শান। বিবেকেরে লয়ে আবেগ গড়িলে/হয় জীবনের উত্থান’। অতি আবেগে ভাসলে জীবনের স্বাদ শেষ জীবনে পানসে। আবার বিবেককে কোণঠাসা করলে জীবন হবে অর্থহীন অচল। অতএব বিবেকবান হও। আবেগে হও আপ্লূত। আবেগে বিবেক ঢুকাও, বিবেকে আবেগ কাজে লাগাও।