কাপ্তাই উপজেলায় গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পাহাড় ধস হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানিসহ ঘরবাড়ি ধসে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধস হলে যাতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সে জন্য কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাবার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য বারবার অনুরোধ করছেন। বৃষ্টিপাত আরো বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্র আভাষ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন কোন অবস্থাতেই পাহাড়ের পাদদেশে কাউকে বসবাস করতে দিতে আগ্রহী নয়।
কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ জানান, পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত এবারও কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে আশ্রয় দেবার সুযোগ থাকবে বলেও তিনি জানান।
জানা যায়, উপজেলার কাপ্তাই, চিৎমরম, চন্দ্রঘোনা, ওয়াগ্গা এবং রাইখালী ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে বিপুল সংখ্যক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। পাহাড় ধস হলে এইসব বসতিরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কাপ্তাই মানবাধিকার কমিশনের মহিলা সম্পাদক নুর বেগম মিতা বলেন, প্রশাসনের বারবার অনুরোধ সত্বেও এখন পর্যন্ত কাউকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে দেখা যায়নি। কাপ্তাই নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনীতে ঝুঁকিতে বসবাসকারি এক পরিবার জানান, কপালে যা ঘটে ঘটবে কিন্তু ঘরবাড়ি ছেড়ে তারা অন্য কোথাও যাবেন না। ২০১৯ সালে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার পর ঘরের অনেক কিছু আর খুঁজে পাননি। তাই ঘরবাড়িতে চুরির আশঙ্কা থাকায় ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে থাকতে চান তারা।