দৈনিক আজাদীতে গত ১৫ জুন সংখ্যায় প্রকাশিত ‘সাগরিকা গরুর বাজারের টেন্ডারে শর্ত ও নিয়ম লঙ্ঘন ‘ইজারাদারকে সোয়া কোটি টাকা ছাড়!’ শীর্ষক সংবাদ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি বক্তব্য প্রদান করেছে। এতে বলা হয়, সরকারি হাট বাজার সমূহের ব্যবস্থাপনায় ইজারা পদ্ধতি নীতিমালার ৩.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যথাসময়ে ইজারাদার বরাবরে হাট বাজার হস্তান্তর সম্ভব না হলে টোল আদায় হতে বিরত থাকা সময়ের জন্য ইজারার মোট মূল্য হতে আনুপাতিক হারে অর্থ ইজারাদারকে ফেরত প্রদানের নির্দেশনা মোতাবেক হস্তান্তরপূর্বক ৬১ দিনের আনুপাতিক হারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত দিনগুলোতে খাস আদায় চলমান ছিল। আদায়কৃত টাকা চসিক তহবিলে যথাযথ সময়ে জমা প্রদান করা হয়েছে। পরপর তিন বার দরপত্র প্রচারের পরও টেন্ডার ফরম বিক্রি না হওয়ায় চতুর্থ দফা ইজারা বিজ্ঞপ্তির আলোকে ফজলে আলম চৌধুরী আরমান নামের ব্যক্তি সরকারি মূল্যে দর দাখিল করে সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়ে ইজারা গ্রহণ করেন। ইজারা কার্যক্রমে নীতিমালার বহির্ভূত কোনো কার্যক্রম গৃহীত হয়নি বলেও সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) কালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : সাগরিকা গরু বাজার ইজারা প্রদানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আহূত টেন্ডার এবং টেন্ডার সিডিউলে ‘১৪২৯ বাংলা সনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য’ কথাটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেই টেন্ডার আহ্বান করে। উক্ত টেন্ডার কোনো অবস্থাতেই পুরো বছরের জন্য আহ্বান করা হয়েছে বলার বা ভাবার সুযোগ নেই। তাই পুরো বছরের অর্থ হিসাব করে ওখান থেকে এক কোটি টাকারও বেশি ইজারাদারকে ছাড় দেয়ায় পুরো ব্যাপারটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠে। টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী অপর চার ঠিকাদারই ব্যাপারটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই ব্যাপারে দুদকসহ বিভিন্ন দফতরে পত্রও দেয়া হয়েছে। টেন্ডার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ যাবতীয় তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করেই দৈনিক আজাদী সংবাদটি প্রকাশ করেছে। টেন্ডার এবং টেন্ডার সিডিউলে ‘১৪২৯ বাংলা সনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য’ কথাটি উল্লেখ করার কারণেই এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।