কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় ইউপি নির্বাচনের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা ছুরিকাঘাতে খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রমজান আলী (৩৫) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাদশা ফকির বাড়ির বাদশা ফকিরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ৮টার দিকে তার নিজ বাড়ির পাশে রাস্তার উপর তিনি এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের রেশ ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ কেউ নৌকার ও আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনার কথা বললেও অনেকে এ ঘটনাকে দুই ইউপি সদস্যদের মধ্যে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন।
রাত সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রমজান আলীর মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
রমজান আলীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এবং রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত ১৫ জুন বুধবার কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচনের পরের দিনই বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বানেজা বেগম নিশি জানান, নিহত রমজান আলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে গণসংযোগসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালান যার কারণে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী ছাবের আহমদের পক্ষের লোকজন এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার আধা ঘণ্টা পর বিদ্রোহী প্রার্থী ছাবের আহমদের রাফসান আহমেদ রিকু নামের এক সমর্থক তার ফেসবুক পেজে চাকু সম্বলিত ছবি দিয়ে ‘মাইরের কোনো বিকল্প নাই’ বলে স্ট্যাটাস দেন।
এদিকে, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হক নিহত রমজান আলীকে নৌকার সমর্থক দাবি করে বলেন, “সে নিয়মিত আমার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। তবে কে, কীভাবে তাকে খুন করেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
নিহতের আত্মীয় খোকন জানান, বুধবার কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদস্য পদে জয়ী সাইদুল হকের অনুসারীরা পরাজিত সদস্য প্রার্থী ইসহাকের অনুসারী রমজান আলীকে ছুরিকাঘাত করে।












