জিইসি মোড় ক্যাম্পাসে গতকাল বুধবার প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকান অ্যাম্বেসির উদ্যোগে ‘আমেরিকান সেন্টার পপ-আপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। উদ্বোধক ছিলেন আমেরিকান অ্যাম্বেসির কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাচে শার্লিনা হোসাইন-মর্গান। অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম।
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খানের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক জয়নাব তাবাসসুম বানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আমেরিকায় বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার বিশাল সুযোগ রয়েছে। যারা আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যাবে, তারা বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সাহিত্য সম্পর্কে অনেক অনেক কিছু জানতে পারবে। তারা আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ব্যবহার করে অনেক দুর্লভ গ্রন্থ পাঠ করার সুযোগ পাবে। তিনি আমেরিকাকে প্রচুর স্কলারের দেশ বলে অভিহিত করেন।
আমেরিকান অ্যাম্বেসির কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাচে শার্লিনা হোসাইন-মর্গান আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যেতে চাইলে কী কী প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়, সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। আমেরিকায় অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার ক্ষেত্রে ফুল টিউশন ফি ওয়েভার, ফেলোশিপস, অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ, ক্যাম্পাস জবস ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রফেশনাল এঙচেঞ্জ প্রোগ্রামের বিষয়েও বর্ণনা করেন। এ সময় তিনি আমেরিকান সেন্টারের সঙ্গে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আগের এঙচেঞ্জ প্রোগ্রামের কথা স্মরণ করেন।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, আমেরিকান সেন্টারের আওতায় এডুকেশন ইউএসএর নানা প্রোগ্রাম উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয়। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ ইউনিভার্সিটিগুলোতে অধ্যয়ন করার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবেন।
শেষে ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা যাচাইকরণ পরীক্ষা স্যাট, টোফেল ও জিআরই বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা সেশন পরিচালনা করে আমেরিকান সেন্টার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।