স্ত্রীর করা মামলা প্রত্যাহার করাতে শ্যালিকার শিশু সন্তানকে জিম্মি করে কক্সবাজার আটকে রেখেছিলেন স্বামী মো. সেলিম। শনিবার (১১ জুন) মাদারবাড়ী থেকে অপহরণের ছয় ঘণ্টার মধ্যে সদরঘাট থানা পুলিশ রোববার ভোরে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা থেকে মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করে এবং পাঁচ বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে। সদরঘাট থানার ওসি মো. খায়রুল ইসলাম আজাদীকে জানান, ট্রাক চালক সেলিমের সঙ্গে হোসনে আরা বেগম নামে এক নারীর তিন বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর হোসনে আরা জানতে পারেন আগেও সেলিম একাধিক বিয়ে করেছেন এবং তার আগের সংসারে সন্তান আছে। এ সব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় হোসেন আরাকে মারধর করতেন সেলিম। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ি থেকে চলে এসে নগরীর সদরঘাট থানার টং ফকির মাজার লেনে ছোট বোনের বাসায় আশ্রয় নেন। পাশাপাশি আদালতে সেলিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ওসি জানান, সেলিম বিভিন্ন সময়ে হোসনে আরাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এবং মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেও তিনি তা করেননি। শনিবার সকালে সেলিম টং ফকির মাজার লেনে গিয়ে তার শ্যালিকার পাঁচ বছর বয়সী শিশু কন্যাটিকে দেখে তাকে চকলেট-চিপস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে ফোন করে হোসনে আরাকে মামলা তুলে নিতে বলেন সেলিম নইলে শিশুটির ক্ষতি করার হুমকি দেন। বিকেলে থানায় অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা হারুণ অর রশিদ। অভিযোগ পেয়ে সদরঘাট থানা পুলিশের একটি দল কঙবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করে। অপহরণের ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি খায়রুল।
