বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নের ১২৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪৭টি ও ৬৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। উপজেলার পুকুরিয়ায় তিনটি, বাহারছড়ায় একটি, কালীপুরে একটি, সরলে দুটি, পুঁইছড়িতে তিনটি, শেখেরখীলে একটি ও ছনুয়ায় চারটিসহ মাত্র ১৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধরে নেয়া উপকূলীয় খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথরিয়া, সরল, গন্ডামারা ও ছনুয়া ইউনিয়ন ঘিরে বাড়তি সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, পুকুরিয়ার ১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দুইটি। সাধনপুরের ৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ, তিনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। খানখানাবাদের ১১টির মধ্যে চারটি ঝুঁকিপূর্ণ ও সাতটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বাহারছড়ার ১০টিতে পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ, চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কালীপুরের ৯টির চারটি ঝুঁকিপূর্ণ, চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বৈলছড়িরতে চারটি ঝুঁকিপূর্ণ, পাঁচটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কাথরিয়ায় পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ, চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। সরলে পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ, চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। শীলকূপের ৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আটটি ঝুঁকিপূর্ণ, একটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। গন্ডামারায় ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ, চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। পুঁইছড়ির ১২টির মধ্যে তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ, ছয়টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। শেখেরখীলের ৯টিতে ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ও দুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ছনুয়ার ৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ও তিনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কামাল উদ্দীন বলেন, আমরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। নানাদিক বিবেচনায় নিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলোর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। বাঁশখালী উপকূলীয় উপজেলা তাই অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকবো। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি মোবাইল টিমের নজরদারি থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছি। অস্ত্র উদ্ধার ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি।












