চিটাগং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। দায়িত্ব পালনকালীন উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তিন মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তিরও সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। গত ৩০ মে বিচারপতি মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন। গত ৪ নভেম্বর এই সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিবর্তে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক নির্বাচনী নোটিশ প্রকাশ ও প্রচার, পত্রিকায় নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দি চিটাগং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসককে চট্টগ্রামকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ করেছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্ট প্রদত্ত রায় স্থগিত করে তা নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত প্রদত্ত স্থগিতাদেশের রায় পরিবর্তন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টে মূল মামলা নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করেন। এ রায়ের প্রেক্ষিতে চেম্বার জজ আদালত প্রদত্ত স্থগিতাদেশ আর বহাল নেই, সেমতে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করতেও কোন বাধা নেই। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিদের্শনা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মিছবাহ উল মুনির বলেন, বিগত কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছিল। নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ৪ নভেম্বর সকালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সেদিনই নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির অধীনে নাসিরাবাদ হাউজিং, খুলশী, রোজ ভ্যালিসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এই সোসাইটির সদস্যদের জন্য নতুন আবাসন প্রকল্পও নেয়া হচ্ছে।