বোয়ালখালীতে মায়ের সঙ্গে রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। গত শুক্রবার রাতে পূর্ব শাকপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরী উপজেলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা আবুধাবি প্রবাসী ও মা গৃহিণী। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার দুপুরে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দায়েরকৃত এজাহার ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর নামের এক ছেলেকে পছন্দ করে এ কিশোরী। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মা তাকে বকাঝকা করলে রাত ১০টার দিকে রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে সে ফুলতল নামক এলাকায় গিয়ে প্রেমিক আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে। সুযোগটা গ্রহণ করে সাগর, রিমন ও সায়মন নামের তিন বখাটে। তারা প্রেমিক যুগলকে ভয় দেখিয়ে কামালের সিএনজিতে তুলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকা ও পরে পূর্ব শাকপুরা এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক আলমগীরের গলায় ছুরি ধরে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পরে রাত ৩টার দিকে সিএনজি টেক্সি যোগে কিশোরীকে তার ঘরের সামনে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। ঘরে গিয়ে কিশোরী তার মাকে ঘটনার ব্যাপারে জানালে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করে। এ সময় ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি, মোটর সাইকেল ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হল পূর্ব গোমদন্ডী রোয়াই পাড়ার বাসিন্দা মো. বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সাগর (১৯), বহদ্দার পাড়ার মো. রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানি উল্লাহ রিমন (২০) ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের চাঁন্দ মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. কফিল উদ্দিনের ছেলে সিএনজি চালক মো. কামাল উদ্দিন (২৬)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান বলেন, সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে এ কাজে ব্যবহৃত সিএনজি, মোটর সাইকেল ও ছোরা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল করিম বলেন, পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।












