মুহূর্তেই কাটে গ্রিল তালা বা সাটার

চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৪ জুন, ২০২২ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রিল ও সাটার কাটা চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুরির সময় চক্রের সদস্যরা আলাদা আলাদা দায়িত্ব পালন করে। চুরির আগে কেউ রেকি করে, কেউবা মুহূর্তে গ্রিল, তালা ও সাটার কাটে, কেউ লুঙ্গি বা বড় ছাতা দিয়ে তালা কাটার কাজে নিয়োজিত সদস্যকে আড়াল করে রাখে। আবার নির্বিঘ্নে চুরি নিশ্চিত করতে তাদের কেউ আশেপাশে কোনো লোকজন থাকলে তাদের সঙ্গে গল্প করতে থাকে। চুরির জন্য তারা মাঝে মাঝে রিকশাচালকের বেশও ধারণ করে। তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা, বরিশাল ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কয়েকজন এর আগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছে। কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের তারা চুরির পেশায় ফিরে এসেছে।

আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দীন আকবর আজাদীকে বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরে আকবর শাহ থানা এলাকার নন্দন হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলের পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি কার্তুজ, খেলনা পিস্তল, টিপ ছোরা, হাতুড়ি ও স্ক্রু ড্রাইভারসহ তালা ভাঙা ও সাটার কাটার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোকুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. অলি আহম্মদ (৩৫), দেবীদ্বার থানাধীন জাফরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল (৩৭), মুরাদনগর থানাধীন সোনাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. বাছির হোসেন ওরফে বশির (৩২), মুরাদনগর থানাধীন কলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহাগ ওরফে ডেন্ডি সোহাগ (২৮), নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মধ্যপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান (৩২) এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন সাছার গ্রামের বাসিন্দা মো. ইমরান হোসেন (২৮)। তারা নগরীর বাকলিয়া, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় বসবাস করতো।

ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওসি জানান, গত ১০১২ বছর ধরে আট থেকে নয়জনের এই চক্রটি নগরী ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা, কুমিল্লা জেলা, ঢাকা মহানগর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কৌশলে প্রায়ই দোকান ও বাসার তালা ভেঙে, সাটার কেটে এবং ক্ষেত্র বিশেষে উপরের টিন কেটে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি করতো। তারা পরিহিত লুঙ্গি কিংবা বড় ছাতার সাহায্যে আড়াল করে চোখের পলকে তালা কিংবা সাটার কেটে দিনের বেলায়ও চুরি করে। সামপ্রতিক সময়ে নিজেদের রক্ষার জন্য তারা আগ্নেয়াস্ত্রও সঙ্গে রাখছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার ভেসে উঠল সাত কেজি ওজনের কাতলা
পরবর্তী নিবন্ধ৩০ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের সংখ্যা ৫৫০ ছাড়িয়েছে