সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলা বাজারে (ওএমএস) আবারও চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন নগরীর ১৯ স্পটে ১ টন করে চাল এবং ৫০০ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে বলে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। একজন ক্রেতা ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন। সাম্পতিক সময়ে চাল ও আটার বাজার বেড়েছে। তাই নিম্ন আয়ের মানুষদের ওএমএসের বিক্রয় স্পটগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার আমিন জুট মিলের সামনে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী নারী পুরষ সারিবদ্ধভাবে ওএমএসের চাল–আটা কেনার জন্য দাঁড়িয়েছেন। এদেরই একজন হোসেনা আকতার বলেন, বাজারে ৫০–৫৫ টাকার নিচে চাল নেই। তাই সরকার কম দামে চাল বিক্রি করছে শুনে কিনতে এসেছি। এছাড়া চালের পরিবর্তে যে দোকান থেকে আটা কিনে খাবো সেই সুযোগও নেই। বাজারে আটার দামও অনেক বেড়ে গেছে। জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, এটা আমাদের রুটিন কাজের অংশ। দীর্ঘদিন ধরে ওএমএসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে স্পেশাল ওএমএস আপাতত বন্ধ আছে। আপাতত আমরা প্রতিদিন ১৯টি স্পটে ১৯ টন চাল এব সাড়ে ৯ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওএমএসের চাল–আটা বিক্রির স্পটগুলো হলো– বলুয়ার দীঘির পশ্চিম পাড়, পাহাড়তলী, বন্দরটিলা, আইস ফ্যাক্টরি স্টেশন কলোনী, ভেন্ডা চৌধুরী মসজিদ সংলগ্ন, পুরাতন পোর্ট মার্কেটের পশ্চিম পাশে, পাথরঘাটা সামছুল হুদা লেইন, ব্রিকফিল্ড দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, আলকরণ কোতোয়ালী, আমিন জুট মিল পেট্রোল পাম্পের পাশে, কাদিরহাট মোহরা, শমশের খান পাড়া চান্দগাঁও, ডিটি রোড পশ্চিম মাদারবাড়ি, নতুন পাড়া ভাটিয়ারি লিঙ্ক রোড, মিয়াখান নগর ইছাকের পুল, চৌধুরী পাড়া হালিশহর, নিমতলা পিসি রোড, মুন্সি পাড়া বন্দর এবং নসু আলম লেইন পূর্ব মাদারবাড়ি, পাহাড়তলী পেট্রোল পাম্পের সামনে, কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের সামনে, সাগরিকা রোড বিটাক মার্কেটের সামনে, সিইপিজেড ঝনক প্লাজা, ওয়াসা বাগমনিরাম স্কুলের সামনে, ওয়্যারলেস কলোনী রাস্তার মাথা, মুরাদপুর মোড়, অক্সিজেন মোড় এবং টাইগার পাস নেভী কনভেনশনের উত্তর পাশে।