ষোলকোটি মানুষের এই ‘চাটগাম’
ভালোবেসে বন্দরে লিখে রাখি নাম।
মোঘল, পাঠান ছিল আমাদের পাশে
এখানে সুনাম, যশ, মিশে আছে ঘাসে।
দুহাজার বছরের সুপ্রাচীন ভূমি,
বার আওলিয়ার এই পলিমাটি চুমি,
আসিরিয়া, গ্রীস, রোম, আবিসিনিয়ায়,
জাহাজিরা ঘুরে এসে মেলে চাটগাঁয়।
সিংহল, মালাবার, জাভা, কালিকট,
ঘুরে ঘুরে চাটগাঁয় এসে ঝটপট
কাজ সেরে শোনা হতো পাহাড়ের গান
খুঁজে নিতো চাটগাঁর মাঝি, সাম্পান।
সাম্পানে ‘কানফুলি’ নদী হয়ে পার
আনোয়ারা, বাঁশখালি যেতো বার বার।
আঠারোশ আটাশিতে শুরু হল চলা,
গানে গানে মানুষেরা মিলিয়েছে গলা ।
আজ সেটা মহীরুহ স্বদেশের নাভি
‘চাটগাম’ বন্দর নিয়ে তাই ভাবি।
আমদানি রফতানি পণ্যের ভারে
শ্রমিকেরা ক্লান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে।
দিন যাবে রাত যাবে ফের হবে দিন,
কখনো এ বন্দর হবে না কো লীন।
দিনে দিনে বেড়ে যাবে কোলাহল সাড়া,
উৎসবে ব্যস্ত যে মহল্ল্লা পাড়া।
চাটগাঁর বন্দর প্রাণ পাবে আরো,
বাংলার চাকমা ও সাঁওতাল গারো
আর যারা আদিবাসি বাঙালির সাথে,
এক হয়ে মিশে গেছে মিলে হাতে হাতে।
খুব বেশি দামে কেনা পুণ্য এ মাটি
সোনা, হীরে, জহরত. তার চেয়ে খাঁটি।