খুনিরা কোনোভাবে দয়া-কৃপা পেতে পারে না : আদালত

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৯ মে, ২০২২ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

মাত্র দুই বছরের শিশু আবদুর রহমান আরাফ। তার পরিবারের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ না থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালের ৬ জুন খুন হতে হয়েছে তাকে। পরদিন ছাদের পানির ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরাফের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় গতকাল দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন। রায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়।

বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আরাফের পরিবারের সঙ্গে আসামিদের কোনো বিরোধ ছিল না। স্বার্থ হাসিল এবং অন্যকে ফাঁসাতেই নিষ্পাপ শিশু আরাফকে বেছে নেয়া হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে। এটি নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড। ঘটনার আগে শিশু আরাফ তার মায়ের সঙ্গে খেলছিল উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, একটু আগে মায়ের সঙ্গেই খেলছিল শিশু আরাফ। পরক্ষণেই সে নাই হয়ে যায়। কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তার সন্ধান মিলে ৮ তলা ভবনের ছাদের উপরে থাকা একটি পানির ট্যাংকে। যেখানে সে লাশ হয়ে পড়েছিল। পানির সেই ট্যাংকেই আসামি নাজমা বেগমের হাতে মৃত্যু হয় আরাফের। তাকে সহযোগিতা করেন তার ছেলে মো. হাসান। মাত্র ২০ হাজার টাকার লোভে পড়ে আসামি মো. ফরিদের পরিকল্পনায় যুক্ত হয় নাজমা বেগম।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরো বলে, এ ঘটনায় জড়িরা কোনো দয়াকৃপা পেতে পারে না। সমাজের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকে পাবে প্রেমিকাকে-এ নিয়েই মারামারি
পরবর্তী নিবন্ধতিন আসামির মৃত্যুদণ্ড