কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে ‘ভালো খাবারের’ ব্যবস্থা থাকায় ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফিরে বাংলাদেশে চলে আসছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমপ্রতি ভারত থেকে দুর্ভাগ্যবশত অনেকগুলো রোহিঙ্গা আসতেছে। এই রোহিঙ্গারা ২০১২ সালে প্রায় ৯ বছর আগে ওখানে গিয়েছিল। বিভিন্ন প্রদেশে ছিল। এখন তারা শুনেছে যে বাংলাদেশে আসলে তারা খাওয়াদাওয়া খুব ভালো পাবে। জাতিসংঘ ওদের খুব ভালো খাবার দেয়। কঙবাজার যারা আছে, তারা খুব সুখে আছে। এদের আত্মীয়স্বজন ওদেরকে খবর দিয়েছে। তার ফলে তারা দলে দলে আসতেছে। খবর বিডিনিউজের।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিপীড়নের শিকার মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪০ হাজারের মতো বিভিন্ন সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার নিবন্ধিত। সীমান্তে যেখানে কাঁটাতারের বেড়া আছে এবং ফটক আছে, সে পথ দিয়েও রোহিঙ্গারা ‘ম্যানেজ’ করে বাংলাদেশে চলে আসছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় চার হাজার ২০০ কিলোমিটারের সীমান্ত। দুঃসংবাদ হচ্ছে, ফেন্স আছে, গেট আছে, সেখান দিয়েও তারা ম্যানেজ করতেছে দালাল ধরে। যেখানে প্রটেকশন সেখান দিয়ে আসছে। এটা দুশ্চিন্তার কারণ।
সমপ্রতি ভারত থেকে আসা এমন ১৮ জনকে আটকের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, ভারত থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মোট সংখ্যা কত তা জানাতে পারেননি এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু আটকও করেছি। ওরা বলে যে, তোমরা কঙবাজারে খুব ভালো খাওয়াদাওয়া দিচ্ছ, আমরা ভারতে অতো বছর ধরে আছি, কষ্টে আছি। তোমাদের দেশে চলে আসছি। ওদের মিয়ানমারে যাওয়া উচিত। কিন্তু তারা মিয়ানমারে যায় না, আমাদের এখানে আসে।’