সুর-সপ্তকের শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যা

| রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতাঙ্গনে প্রাতঃস্মরণীয় নাম উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া। তাঁর পরিচয় তিনি বরেণ্য শিল্পী, সংগীত গুরু, স্বনামধন্য গীতিকার, সুরকার ও স্বরলিপিকার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গত ১৩ মে শুক্রবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুর সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠ কর্তৃক আয়োজিত হয় এক শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন সভাপতি ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী ও উস্তাদ মাসুদ হোসেন। এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন সুর-সপ্তকের শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান। প্রথমে ভীমপলশ্রী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী তৃণা চৌধুরী, মালকোষ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী জয়িতা মুৎসুদ্দী, যোগ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন উস্তাদজীর কন্যা ফাল্গুনী বড়ুয়া, চারুকেশী রাগ পরিবেশন করেন শিল্পী জ্যোতি ব্যানার্জী (সেতার) ঢাকা, এবং শিল্পী জাকির হোসেন ঢাকা, শিল্পীদের সুনিপুন পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করেন। শিল্পীদের তবলায় সহযোগিতা করেন শিল্পী রাজীব চক্রবর্ত্তী এবং শিল্পী প্রদীপ নন্দী। হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন শিল্পী সুমন বড়ুয়া, শিল্পী প্রমিত বড়ুয়া ও ফাল্গুনী বড়ুয়া। এস্রাজে শিল্পী মদন মোহন ঘোষ এবং তানপুরায় শিল্পী হিল্লোল চৌধুরী, শিল্পী অরুণ বড়ুয়া ও শিল্পী সম্পদ বড়ুয়া সহযোগিতা করেন। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন মধুবন্তী সংগীত নিকেতনের শিক্ষার্থীরা।
নৃত্য পরিচালনায় শিল্পী সুমি চক্রবর্ত্তী। শেষ পর্বে বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। উস্তাদজীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীবৃন্দ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উনার সহধর্মীনী প্রতিমা রানী বড়ুয়ার হাতে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রবীর পাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশ হলো অবন্তী সিথিঁর ‘পাগলাটে মন’
পরবর্তী নিবন্ধমোশাররফ করিম ও মিমের নাটক ‘মনের মানুষ’