ফটিকছড়িতে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ মে, ২০২২ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ও সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন জরিনা বেগম (৪৭) নামের এক গৃহকর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের হয়। এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আরো দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলে জানা গেছে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশের একটি ভবনে ব্যাচেলর হিসেবে বসবাস করতেন নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। তাদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন জরিনা বেগম। দীর্ঘদিন কাজ করার সরল বিশ্বাসে গত ২৭ মার্চ রাতে কাজ আছে বলে শিখা নামে আরেক গৃহকর্মীর মাধ্যমে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করেন দুই কর্মকর্তা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন দুই কর্মকর্তা। তাকে মেডিকেল খরচ পাঠান এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে জরিনা প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। বিষয়টি ইউএনও’র ক্ষমতাবহির্ভূত হওয়ায় তিনি আইনিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন জরিনাকে। পরে জরিনা ফটিকছড়ি থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বলেন, আমার কাছে জরিনা অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। বিষয়টি সেনসেটিভ হওয়ায় এবং আমার ক্ষমতার বাহিরে হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জরিনাকে পরামর্শ দিয়েছি।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় সহায়তা করার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এয়াকুব নামে এক আনসার সদস্য এবং শিখা শীল নামে এক গৃহপরিচারিকাকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাঈদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে যে অভিযোগটি করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত বছরের নভেম্বরে ফটিকছড়িতে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা করেছে।’

অপর অভিযুক্ত সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে রামগড়ে কর্মরত হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহিলাটি খারাপ চরিত্রের। এ মহিলাকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাঠ ভর্তি সোনালি ধান, কাটার জন্য নেই পর্যাপ্ত শ্রমিক
পরবর্তী নিবন্ধডেসটিনির রফিকুলের ১২ হারুনের ৪ বছরের সাজা